'রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে' বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এতো দরদ উঠলো তার। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গরম গলা এখন নরম হয়ে গেছে। আন্দোলনের খেলায় তো পরাজিত হয়ে গেছেন। আসেন নির্বাচনের খেলায় নামেন। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন পাকিস্তান আমল ভালো ছিল। কিন্তু এ মূহুর্তে পাকিস্তানের অবস্থা কেমন? বাংলাদেশে ৬ মাসের রিজার্ভ আছে। কিন্তু পাকিস্তানে ৩ সপ্তাহেরও রিজার্ভ নেই। পাকিস্তান এখন আইএমএফের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সে পাকিস্তানই মির্জা ফখরুলের ভালো লাগে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে আজকের পাকিস্তানের মতো পরিণতি হবে দেশের। আজকে ক্ষুধায় সমস্ত পাকিস্তান কাঁপছে। সেই পাকিস্তান আপনার ভালো লাগে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি ক্ষমতায় যান বাংলাদেশ আজকের পাকিস্তান হবে। ফখরুল সাহেবরা বাংলাদেশকে পেয়ারের পাকিস্তান বানাবে আমরা সেটা হতে দেব না। বিএনপির কাছে ক্ষমতা মানে দেশ আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়া।
বিএনপির চলমান আন্দোলনের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পথ হারিয়ে বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হয়েছে। তাদের মিছিলের প্রস্থ বড়, দৈর্ঘ্য কমে গেছে। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে বিএনপির আন্দোলনে ভাটা পড়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আন্দোলনের ডাক দিবে নির্বাচনের পর।
এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা মানারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।
শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।